শাহজাহান আলী, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :
জলাবদ্ধতায় রোপাআমন চাষে অনপোযোগী হয়ে থাকা প্রায় ২শ হেক্টর জমি নানাবিদ আগাছায় ভরে থাকায় বোরো মৌসুমের জন্য চাষাবাদে অনুপযোগি করতে ব্যপক খরচ করতে হচ্ছে। বিঘাপ্রতি ২/৩ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচকরে জমি আগাছামুক্ত করতে হচ্ছে। ফলে একেতো রোপাআমন মৌসুম থেকে বঞ্চিত, তার উপর বাড়তি খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা হতাশায় ভুগছেন।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উজান থেকে বয়ে আসা একসময়ের বানিয়াযান নদীটি রতনকান্দি ইউনিয়নের রতনকান্দি হাটের নিকট ওয়াবদা বাধের কারণে গত ১৯৯৮ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাজিপুরের বিলে অঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের মাঝদিয়ে বয়ে চলা বানিয়াযান নদীটির পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।
সেই থেকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে এলাকা সমূহের প্রায় ২শ হেক্টর জমি এক ফসলিতে জমিতে পরিণত হয়েছে। এদিকে বছরের পর বছর ধরে ক্রমাগত পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় আবদ্ধ জমিগুলোতে নানাবিদ আগাছায় পরিপুন্ন হয়ে পড়েছে। একারনে বোরো মৌসুমের জন্য জমিগুলো চাষাবাদের উপযোগি করতে কৃষকদের ব্যপক খরচ বেড়েছে।
গান্ধাইল গ্রামের কৃষক শাহ আলী জানান, বিগত বছরগুলোতে ধানের দাম কম থাকায় জমিগুলো বর্গা নেয়ার মত কোন বর্গাচাষী পাওয়া যেত না।
একই গ্রামের বর্গাচাষি নুরুমিয়া জানান, বিঘাপ্রতি জমি ঘাস পরিস্কার করতে ৩ হাজার টাকা খরচ করে যে ধান পাওয়া যেত তাতে চাষ খরচও ওঠতো না। তবে চলতি মৌসুমে ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা নানা খরচ খরচার মধ্যেও আশার আলো দেখছে।