শাহজাহান আলী, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :
কাজিপুরে যমুনার পানি ক্রমাগতভাবে কমতে থাকায় নদীর বুকে অসংখ্য ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যমুনার পূর্বপারের মানুষের নৌ পথে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
যমুনা নদীদ্বারা পূর্বপশ্চিমে বিভক্ত কাজিপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৬টি যমুনার পূর্বপাড়ে অবস্থিত। সংগত কারণে যমুনার পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত উপজেলা সদরের সাথে পূর্বপারের ৬টি ইউনিয়নের বিপুল সংখ্যক মানুষজনের নানা প্রয়োজনে পশ্চিম পাড়ে যাতায়াত করতে হয়। পূর্বপাড়ের ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে নাটুয়ারপাড়া, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, মনসুরনগর ও খাঁশরাজবাড়ি ইউনিয়ন বাসিদের মেঘাই, খুদবান্দি ও ঢেকুরিয়া ঘাট হয়ে পারাপার হতে হয়।
ওই সকল এলাকার যাতায়াতকারী লোকজনের বেশীরভাগ আবার নাটুয়ারপাড়া থেকে মেঘাই ঘাট হয়ে যাতায়াত করে থাকে। ঘাট তিনটির মধ্যে মেঘাই, ও খুদবান্দি ঘাট থেকে দ্রুত চলাচলের জন্য নৌকার পাশাপাশি ৮ থেকে ১০টি স্পীটবোর্ডও রয়েছে।
এদিকে গত মঙ্গলবার মেঘাই ঘাটে গিয়ে কথা হয় ইজারাদার ও চেইনমাস্টার তালহার সঙ্গে। তারা জানান, যমুনার পানি কমে যাওয়ায় প্রায় ১৫ দিন যাবত স্পীডবোর্ডের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সীমিত পরিসরে প্রায় ১০টির মতো ইঞ্জিন চালিত নৌকাগুলোকে প্রায় ৫ কিলোমিটার উজান দিয়ে ঘুরে ঘুরে নাটুয়ারপাড়া সহ খাঁশরাজবাড়ির সানবান্ধা ও তেকানী ঘাটে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এতে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনে সময় এবং অর্থ বেশী খরচ হচ্ছে।
তারা আরো জানান, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ রয়েছে তবে স্কুল কলেজ খোলা হলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঠিক সময় গন্তব্যে পৌঁছা কঠিন হয়ে পড়বে।