স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধান বার্তা :
বগুড়ার ধুনটে ৬ মাসের এক অন্তঃসত্বা গৃহবধুকে (৩০) ধর্ষণের চেষ্টা ও মারপিটের অভিযোগে মামলা দায়ের করায় বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে নির্যাতিত ওই গৃহবধুর স্বামী ধুনট মডেল প্রেসক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী হোড়ারদিঘী গ্রামের মাহমুদুল হোসেনের ছেলে শামীম হোসেন আমার সম্পর্কে ভগ্নিপতি। তার সঙ্গে আমার জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। সে মাঝেমধ্যেই আমার স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এবিষয়ে স্থানীয় মুরব্বীদের কাছে বিচার দিয়ে কোন প্রতিকার মেলেনি।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর আমি ও আমার স্ত্রী ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের নিমগাছী গ্রামের দক্ষিনপাড়া এলাকার গাজিউল হকের বাড়িতে বেড়াতে যাই। রাত সাড়ে ১০টায় শামীম হোসেন তার দুই বন্ধু দুলাল মিয়া ও মাহমুফুর রহমানকে দিয়ে আমার স্ত্রীকে পাশ্ববর্তী স্থানে জরুরী কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে যায়।
একপর্যায়ে শামীম হোসেন আমার অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে জোড় করে তার পরনের কাপড় খুলে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এতে ব্যর্থ হলে শামীম ও তার বন্ধুরা আমার স্ত্রীকে দড়ি দিয়ে বেধে রাখে এবং গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করতে থাকে। তখন আমি সহ স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা আমাকে মারপিট করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আমার স্ত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এঘটনায় শামীম হোসেন সহ তার বন্ধু একই গ্রামের মাহফুজার প্রামানিকের ছেলে দুলাল মিয়া ও মাজবাড়ী পাঁচকারিয়া পাড়া এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মাহফুজার রহমানকে আসামী করে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা (১৮৪নং) দায়ের করি। মামলাটি বর্তমানে বগুড়া পিবিআই তদন্ত করছেন’।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মামলা তুলে নিতে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তাই আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি’।
এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই আশাদুল হক বলেন, মামলার ১নং আসামী শামীম হোসেন সম্পর্কে বাদীর ভগ্নিপতি। তাদের মাধ্যে জমি জমা নিয়ে বিরোধও রয়েছে। তাই মামলাটি আরো গভীরভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।