শেখ সোহেল রানা, ধুনট (বগুড়া) :
একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু পর্যন্ত কাঁদা। পিচ্ছিল কাঁদাযুক্ত পথে যাতায়াত করতে পা টিপে, কাপড় গুজে চলতে হয় সড়কে । বর্ষা মৌসুমে এ দূর্ভোগ আরো বেড়ে যায়।
রাস্তাগুলোর করুণ অবস্থা দেখে মনে হয়, যে কেউই দেখার নাই ? কথাগুলো বলছিলেন, গোবিন্দপুর সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আঃ রশিদ তালুকদার।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ধুনটের মথুরাপুর ইউনিয়নের ‘উজাল সিংহ গোবিন্দপুর’ রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সেখানকার জনসাধারণ। পায়ে হেঁটে চলাই দুুষ্কর, গাড়িতে যাতায়াত তো দূরের কথা।
এমন অবস্থা ধুনটের উজালসিংহ, গোবিন্দপুর, রামপুরা, ছাতিয়ানী, জোলাগাঁতি সহ অধিকাংশ রাস্তাই কাঁচা, কর্দমা গর্তে ভরা। সামান্য বৃষ্টির জলেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে ওঠে এই সকল রাস্তায়। একারনে এই সকল রাস্তায় যাতায়াত করতে অসুস্থ নারী, শিশু, ছাত্র ছাত্রী, ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি চরমে পৌছেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কবি ধুমকেতু, সোহাগ হোসেন, সবুজ, আতিকুল, আলী আকবর, আনোয়ার, হাফিজুর, গোলাম রব্বানী ও শাহজাহান আলী বলেন, এটা আমাদের যোগাযোগের অন্যতম একটি রাস্তা। শিঘ্রই রাস্তাটির প্রতি কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিলে আমাদের কষ্টটা লাঘব হবে।
এ প্রসঙ্গে ছাতিয়ানী গ্রামের বাসিন্দা লেখক বীরমুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন বলেন, আমি উক্ত রাস্তাগুলো পাকাকরণের বিষয়ে বারবার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও আশানুরূপ কোন সাড়া পাইনি ।
সম্প্রতি ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের সহযোগিতায় উজাল সিংহ গোবিন্দপুর রাস্তার কিছু অংশে ইটেরগুড়া (রাবিশ) দিয়ে সাময়িক মেরামতের চেষ্টা করা হয়েছে, তবে তা বর্তমানের বৃষ্টির পানিতে ধ্বসে গেছে। জনসাধারণের দাবি শিঘ্রই রাস্তাটি টেকশই মেরামত সহ চলাচল বান্ধব করে তোলা হোক। তা না হলে এ জনপদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়বে, যার ফলে ব্যাহত হবে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা।