ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধান বার্তা :
বগুড়ার ধুনটে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়েই শ্বাসরোধ করে হাসিলা বেওয়া (৪৫) নামে এক ভিক্ষুককে খুন করা হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে গ্রেফতারকৃত দুই আসামী এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের আনারপুর কচুগাড়ি গ্রামের সামছুল মন্ডলের ছেলে বাদশা আলম (৩৫) ও আনারপুর হঠাৎপাড়া এলাকার বাদু মন্ডলের ছেলে ফজলুল হক (৩২)। তারা দু’জনই সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, বগুড়া আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ হাসান শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামীর জবানবন্দি গ্রহণ করে কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
তিনি আরো জানান, গত ১৬ অক্টোবর নিহত হাসিলা বেওয়ার মোবাইলফোনের কল লিস্টের সুত্র ধরে বাদশা আলম ও ফজলুল হককে তাদের নিজ বাড়ি হতে আটক করে থানা পুলিশ। তবে এ হত্যাকান্ডের সাথে আরও কয়েকজন জড়িতের তথ্য দিয়েছে গ্রেফতারকৃতরা। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানাগেছে, ২৫ বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর হাসিলা বেওয়া আনারপুর ঘুঘড়াপাড়া গ্রামে তার বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। আর একমাত্র ছেলে হাসেম (২৬) তার খালা ধলি বেগমের বসতবাড়ী থেকে দিন মুজুরের কাজ করে।
হাসিলা দীর্ঘদিন ধরে সকালে বাসা থেকে বের হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা করে জীবন যাপন করতেন। গত ১২ অক্টোবর সে সারাদিন ভিক্ষা করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়িতে ফেরেন। বাড়িতে ফেরার অধাঘন্টা পর হাসিলা তার বোন পাশ্ববর্তী ধলি বেগমের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হয়। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিলো।
পরদিন ১৩ অক্টোবর সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় লোকজন তার বাড়ির প্রায় ৫০০ গজ দূরের একটি ধান ক্ষেতে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় হাসিলা বেওয়ার মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে ধুনট থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বোন ধলি বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামাদের আসামি করে ধুনট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় বাদশা আলম ও ফজলুল হককে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।