ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধান বার্তা :
একটু বৃষ্টি হলেই পিচ্ছিল কাঁদাযুক্ত রাস্তায় যাতায়াত করতে পা টিপে, কাপড় গুজে চলতে হয়। বর্ষা মৌসুমে এ দূর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। রাস্তাগুলোর করুণ অবস্থা দেখে মনে হয়, যেন দেখার কেউই নাই।
সরেজমিনে ধুনটের চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের ‘বাটিকাবাড়ি গ্রামের রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সেখানকার জনসাধারণ। পায়ে হেঁটে চলাই দুুষ্কর, গাড়িতে যাতায়াত তো দূরের কথা। সামান্য বৃষ্টির জলেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে এই রাস্তায়। একারনে এই রাস্তায় যাতায়াত করতে অসুস্থ নারী, শিশু, ছাত্র ছাত্রী, ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি চরমে পৌছেছে।
বাটিকাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা শরাফত জামান পাশা বলেন, আমি এই রাস্তাটি পাকাকরণের বিষয়ে বারবার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও আশানুরূপ কোন সাড়া পাইনি। সামান্য বৃষ্টি হলেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়ে। একারনে এই এলাকার প্রায় ২ শতাধিক পরিবারকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এমন বেহাল অবস্থা চৌকিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চান্দিয়ার গ্রাম পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ও চান্দিয়ার থেকে নয়াপাড়া-বেলকুচি পর্যন্ত ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার।
চৌকিবাড়ী গ্রামের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, চৌকিবাড়ী গ্রামের নামে ইউনিয়ন পরিষদের নামকরণ হলেও এই গ্রামের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে যেতে পারে না। চৌকিবাড়ী গ্রাম থেকে ইউনিয়ন পরিষদের দূরত্ব ৩ কিলোমিটার হলেও রাস্তার বেহাল অবস্থার কারনে লোকজনকে ধুনট উপজেলা সদর ঘুরে প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ পড়ি দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হয়। তাই রাস্তাটি পাকা করণের জন্য স্থানীয় লোকজন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এবিষয়ে ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধুনট উপজেলায় অসংখ্য কাঁচা রাস্তা পাকা করণ করা হয়েছে। তাই পর্যায়ক্রমে সকল রাস্তাই পাকা করণ করা হবে।