রাশেদুল হক, শেরপুর (বগুড়া) থেকে-
বগুড়ার শেরপুর উপজেলা পল্লী বিদ্যুত অফিসের ভুতুরে বিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ গ্রাহক। বিলের কাগজে ব্যবহৃত ইউনিট শুন্য থাকলেও গ্রাহকের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত বিলের কাগজ। এছাড়াও বিলের কাগজের সাথে ডিমান্ড চার্জ, মিটার ভাড়া, ভ্যাট, ও অন্যান্য ফি’র নামেও হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে আরো অতিরিক্ত টাকা। তবে এ সব বিষয়ে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় প্রতিনিয়তই হয়রানীর শিকার হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকেরা।
উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে আবু সাঈদের বিলের কাগজে দেখা যায়, গত জুন মাসে ব্যবহৃত ইউনিট ছিল ৭৪৫০। জুলাই মাসের ১২ তারিখে বিল প্রস্ততির দিনও ব্যবহৃত ইউনিট লেখা হয়েছে ৭৪৫০। অথচ বিলের কাগজে মোট বিল দেখানো হয়েছে ৯২২ টাকা। পরবর্তি আগস্ট মাসে ব্যবহৃত ইউনিট দেখানো হয়েছে ৭৭২০ আর ১১ আগস্ট মাসে ব্যবহৃত ইউনিট দেখানো হয়েছে ৭৮৭০ ইউনিট। অর্থাৎ আগস্ট মাসের বিল দেয়া হয়েছে ১৫০ ইউনিটের ৮২২ টাকা।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আবু সাঈদ বলেন, আমি প্রায় ৮ বছর আগে বাড়িতে বিদ্যুত সংযোগ নিয়েছি। কোনদিনও ৩০০ টাকার বেশি বিল দিতে হয়নি। কিন্তু বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তেমন না থাকলেও বিল এসেছে ৮০০ টাকারও বেশি। এরকম ভাবে ভুতুরে বিল চলতে থাকায় আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। খুব দ্রুত কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
গাড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর গ্রামের আলহাজ¦ নুরনবী বলেন, আমার বাড়ির আবাসিক বিলে গত মে মাসে বিল এসেছিল ১ হাজার ৫০০ টাকা। জুন মাসে এসেছিল ৬ হাজার ৩০ টাকা। বিলের কাগজ ঠিক করে দিতে বললে অফিস কর্তৃপক্ষ আমার সমুদয় বিল নিয়েছে। এ রকম অবস্থা দেখে মিটার পরিবর্তনের আবেদন দিয়েছি। কিন্তু এখনো তারা মিটারটি পরিবর্তন করে দেয়নি। শুধু আবু সাঈদ ও নুরনবী নয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভুতুরে বিল নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার জাকিরুল ইসলাম অনুসন্ধান বার্তাকে বলেন, এ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে গ্রাহক আমাদের কাছে আসলে তা দ্রুত সমাধান করে দেয়া হবে।