বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :
বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নের দাড়িয়াল গ্রামে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। ধর্ষিতা ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষক অটোরিক্সা চালক আমিনুর সাকিদারকে (২৭) রবিবার দিবাগত রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত ধর্ষক আমিনুর ধর্ষনের দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
ধর্ষক আমিনুর বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের কাহলা গ্রামের আলতাব সাকিদারের পুত্র।
পুলিশ জানায়, রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ধর্ষিতা ওই মেয়ে ও তার বাবা থানায় এসে জানান, গত ২৪ অক্টোবর একটা অপরিচিত মোবাইল নম্বরে কথা হচ্ছিল। তিনদিনের মাথায় ছেলেটা মেয়েটি সঙ্গে দেখা করতে চায়। মোবাইল ফোনে ছেলেটা তার নাম সাগর বলে জানায়। ২৭ অক্টোবর ছেলেটা মেয়েটার সঙ্গে দেখা করতে বারবার ফোন দেয়। ২৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টার দিকে মেয়েটি ছেলেটির সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। রাস্তায় অপেক্ষায় থাকা ছেলেটি (সিএনজি চালক) মেয়েটিকে তার সিএনজিতে উঠিয়ে নেয়।
কিছুদুর গিয়ে একটি জঙ্গলের ভিতর নিয়ে গিয়ে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আমিনুর সাকিদার।
পরে মেয়েটিতে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। মেয়েটি বাড়িতে এসে ঘটনাটি তার বাবা মাকে বলে। কিন্তু তার বাবা মা এলাকায় সাগর নামে কাউকে খুজে না পেয়ে সদর থানায় এসে অভিযোগ করে। এদিকে ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ রীতিমত হিমশিম খেয়ে যান। পরবর্তীতে মোবাইল ট্যাকিং এর মাধ্যমে ছেলেটিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
তবে ধর্ষক তার নাম আমিনুর গোপন করেছিল। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদ এবং মেয়েটিকে মুখোমুখি করলে ছেলেটি ধর্ষনের দায় স্বীকার করে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ দ্রুত ঘটনাটি উদঘাটন করেছে এবং ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঘটনায় বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।