এস আই সুমন, বগুড়া থেকে :
বগুড়ার মহাস্থান মহাসড়কে রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। এ কারণে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এই যানজটের কবল থেকে রক্ষা পেতে স্বল্প সময়ে বিকল্প পথ হিসেবে মহাস্থান নামুজা- আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে খাদে পড়ে দু’জন আহত হয়েছে।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে বগুড়ার মহাস্থান থেকে শাহ সুলতান হ্যাচারীর পাশে (ভোলা-ট ৪১-০০০৪) একটি মবিলবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি পুকুরে উল্টে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে চালক ও হেলপারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। এঘটনায় চালক ও হেলপারের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিন অসংখ্য ভারি যানবাহন চলাচল করছে। সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে এসব আঞ্চলিক সড়ক। বাড়ছে দূর্ঘটনাও। বগুড়ার গোকুল-মহাস্থান মহাসড়কের চার লেন কাজের ধীরগতির কারনে প্রতিনিয়ত যানজটে জনদূর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। আগে যেখানে সব ধরনের যানবাহন পার হতে সময় লাগতো এক থেকে দুই মিনিট, এখন সেখানে ১ ঘন্টা থেকে ২ ঘন্টাতেও যাতায়াত সম্ভব হচ্ছে না। কখনও কখনও তারও বেশি সময়ও লাগছে। এই হচ্ছে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের গোকুল উত্তর ও মহাস্থান বন্দর সংলগ্ন মহাসড়কের বর্তমান অবস্থা। বেশ কিছুদিন হলে ওই এলাকার মহাসড়কের কিছু অংশের রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলছে।
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, অত্যন্ত ব্যস্ততম এ এলাকার মহাসড়কের কাজ চলছে অনেক ধীর গতিতে। গুরুত্বের বিবেচনায় এখানকার কাজ আরো দ্রুতগতিতে হওয়া উচিৎ বলে যানবাহনের চালক, যাত্রী ও এলাকার সচেতনমহল মনে করেন। তা না হওয়ায় রাস্তা ব্যবহারকারীরা জনদূর্ভোগের শিকার হয়েছেন। বিশেষ করে দুরপাল্লার যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও রাস্তার আলগা মাটিগুলো মহাসড়কের পাশে ফুটপাতের ধার ঘেষে রাখায় স্থানীয়দের চলাচলে চরম অসুবিধা হচ্ছে। পায়ে হেঁটে চলাচল করাও অনেকটা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
এছাড়া মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত এলাকার আঞ্চলিক ছোট রাস্তাগুলোও প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। যেকারনে ভ্যান- রিক্সা, বাইসাইকেল ও মটরসাইকেল চলাচলও করতে পারছে না। এ অবস্থায় বিভিন্ন আবাদি ফসল ও নিত্যপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে এলাকার মানুষদের চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মহাসড়কের কাজের গতি বাড়ানোর জন্য স্থানীয় এলাকাবাসী, চালক ও যাত্রী সাধারনগণ জোর দাবি জানিয়েছেন।