ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধান বার্তা :
বগুড়ায় শীতের আগমনী বার্তায় গত কয়েকদিন ধরে শীতকালীন পিঠার বাজারও সবে বসতে শুরু করেছে। রাস্তার দু’পাশে ও বিভিন্ন হাট বাজারে খোলা জায়গায় বসছে নানা রকমারী পিঠার বাজার।
বগুড়ার আন্তর্জাতিক শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের গেট সংলগ্ন কারমাইকেল রোডে প্রতি শীতেই বসে বিভিন্ন রকমারী সব শীতকালীন পিঠার বাজার।শুধু সেখানে নয় বগুড়ার প্রাণ কেন্দ্র শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা এবং আশপাশের বিভিন্ন সড়কের দু’ধারে। সন্ধ্যার পর থেকে পিঠা খেতে আসে শহরের বিভিন্ন দূও দুরান্ত থেকে আসা মানুষগুলো। শীতের শুরুতেই দোকনদানরা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ি পিঠা তৈরীতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে।
করোনাকালীন সময়েও পরিবার পরিজন নিয়ে শীতকালীন পিঠা খেতে ভীড় জমাচ্ছেন অনেকেই। সব বয়সীদের আগমন ঘটে সেখানে। কুশলী পিঠা, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, ভাপা পিঠা, তেল পিঠা এখান তৈরী হচ্ছে। গরম পিঠা খেতে তাই শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে চলে আসে অনেকে।
পিঠা বাজারের রহমত আলী প্রায় ১৫ বছর ধরে পিঠা তৈরী এবং বিক্রী করে তার পরিবারের ১০ জনের ভরন পোষন করছেন। তিনি জানান, তার পাঁচজন কর্মচারী। শীতের পিঠা বিক্রীর উপার্জনই সারা বছরের ভরসা। প্রতিদিন লাভ থাকে প্রায় হাজার খানিক টাকা।
ওই বাজারের কমলা বেগম জানান, কুশলী পিঠা তিন ধরনের। নারিকেলের, বুটের এবং ঝাল কুশলী পিঠা। অনেকে দুধ পিঠা খেতে সাদা চিতই পিঠার অর্ডার দেয়।
শীতালীন পিঠার ক্রেতা বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া এলাকার আঁখি বেগম জানান, শীত পড়ার পর দুই দিন এসে ঘুরে গেছি। পিঠার বাজার তখনও বসেনি। দুধ পিঠা খাবে বাচ্চারা, তাই সাদা চিতই পিঠা কিনতে এসেছি। বাসায় চিতই পিঠা বানানো ঝামেলা। আমার মত অনেকেই সাদা চিতই পিঠা কিনে বাসায় দুধে রেখে দুধ পিঠা করে থাকেন।