বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :
বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে আব্দুল কুদ্দুস (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়া জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এর বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির এ রায় ঘোষনা করেন।
এ সময় আসামী আব্দুল কুদ্দুস আদালতে উপস্থিত ছিল। দণ্ডিত আব্দুল কুদ্দুস বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে।
এদিকে আব্দুল কুদ্দুসের প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আশেকুর রহমান সুজন এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, দন্ডিত আব্দুল কুদ্দুস প্রথমে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার ভোগা গ্রামের জাহানারা বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করে সেখানেই ঘর জামাই হিসেবে বসবাস শুরু করে।
পরবর্তীতে একই গ্রামের মদিনা বেগম নামে এক নারীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে আব্দুল কুদ্দুস ২০১২ সালে মদিনা বেগমকে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং বিয়ে করে। এরপর দুই স্ত্রীকে নিয়ে আব্দুল কুদ্দুস বগুড়ার কাহালু উপজেলার লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামে বসবাস শুরু করে।
তবে কিছুদিন যাওয়ার পর আব্দুল কুদ্দুস ১ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে দ্বিতীয় স্ত্রী মদিনা বেগমকে নির্যাতন শুরু করে। বিষয়টি মদিনা বেগম তার মা রোকেয়া বেগমকে জানায়। তবে দাবি অনুযায়ী যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় আব্দুল কুদ্দুস মদিনা বেগমের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এভাবে চলতে থাকা অবস্থায় ২০১৬ সালের ২০ জুলাই সে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মদিনা বেগমকে মারপিট করে হত্যা করে।
পরে ওই ঘটনায় নিহত মদিনা বেগমের মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে কাহালু থানায় আব্দুল কুদ্দুসহ ৭জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আব্দুল কুদ্দুস ও তার প্রথম স্ত্রী জাহানারা বেগমকে অভিযুক্ত করে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।