ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধান বার্তা :
বন্ধুকে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের নাটক সাজানোর পরও অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে সেই হত্যাকারী যুবক। বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) শেরপুর থানা পুলিশ জোরগাছা গ্রামের ধান ক্ষেত থেকে নিখোঁজ মিনহাজ উদ্দিন শেখ (২১) নামে ওই চালকের লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় খুনি বন্ধু রাব্বি মিয়াকে (২২) কে আটক করা হয়েছে।
এরআগে গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ধুনট উপজেলার বিশ্বহরিগাছা বাজার থেকে বন্ধুর সাথে ঘুড়তে বের হয় মিনহাজ উদ্দিন। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিলো।
থানা পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, বগুড়ার ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের বিশ্বহরিগাছা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে রাব্বি মিয়া তার বন্ধু একই গ্রামের মোজদার আলী শেখের ছেলে মিনহাজের ইজিবাইক নিয়ে গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বেড়ানোর কথা বলে শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের আওলাকান্দি গ্রামে আসে।
পথিমধ্যে এক দোকান থেকে দু’বোতল কোমল পানীয় কিনে তার মধ্যে ১০ টি ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে মিনহাজকে খাওয়ায় রাব্বি। ওই পানি খেয়ে মিনহাজ ঘুমিয়ে পড়লে এই সুযোগে রাব্বি তার বন্ধু মিনহাজকে উপর্যিপুরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এমনকি লাশ যেন কেউ না চিনতে পারে এজন্য সে ধারালো চাকু দিয়ে মুখের চামড়া কেটে ফেলে।
এদিকে এঘটনাটি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে রাব্বি মিয়া ৯৯৯ এ ফোন করে বলে যে ছিনতাইকারীরা তার বন্ধু মিনহাজকে খুন করে তার ইজিবাইক ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। আমি বাধা দিলে আমাকে চাকু মেরে ফেলে রেখে গেছে। পরে তাকে থানায় গিয়ে জিডি করতে বললে রাব্বি থানায় যায়। একপর্যায়ে পুলিশের তদন্তে এবং জিজ্ঞাসাবাদে রাব্বি তার বন্ধুকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। তখন তাকে শেরপুর থানা পুলিশ আটক করেন।
রাব্বির দেয়া তথ্য অনুযায়ি বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. আলী আশরাফ ভূঞা (বিপিএম বার), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ, শেরপুর সার্কেল মো. গাজিউর রহমান, জেলা ডিবি পুলিশের ইনচার্জ আসলাম হোসেন, শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদসহ সঙ্গীয় ফোর্স বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে সুঘাট ইউনিয়নের জোরগাছা গ্রামের একটি ধান ক্ষেতের ভিতর থেকে মিনহাজের লাশ উদ্ধার করেছেন।
এ বিষয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) মো. গাজিউর রহমান বলেন, রাব্বির কোন আয় রোজগার ছিলনা। তাই সে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। একারনে সে তার বন্ধু মিনহাজের ইজিবাইক ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে। কিন্তু পুলিশের জালে সে ধরা পড়েছে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ি লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।