শাহজাহান আলী, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিনকার পরিবহনের কাজে ঘোড়ার গাড়ি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। যমুনানদী দ্বারা পূর্বপঞ্চিমে বিভক্ত কাজিপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৬টি ইউনিয়নই যমুনার পূর্বপারে অবস্থিত। তাই সংগত কারণেই এই উপজেলার জনসংখ্যার বিশাল অংশের বসবাস যমুনার চরাঞ্চলে।
কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলে প্রতিবছরের বন্যায় একদিকে মানুষের যাতায়াতের রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে, তেমনি বন্যায় জমিতে পলি পড়ার কারণে জমি উর্বর হয়ে থাকে।
চরের উর্বর জমিতে তিল, তিশি, বিভিন্ন কলাই, মরিচ, সরিষা, গম ও ভুট্টাসহ নানাবিদ রবি ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্ত রাস্তাঘাট না থাকায় চর থেকে জমিতে উৎপাদিত ফসলাদী পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার হয়ে থাকে।
এছাড়া চরে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ সম্প্রতি বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যবহৃত ইট, সিমেন্ট, লোহা, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য পরিবহনের কাজেও ঘোড়ার গাড়ির বিকল্প নেই।
গত শক্রবার তেকানী ঘাটের কয়েকজন ঘোড়ার গাড়ির চলকের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্ষা মৌসুম ছাড়া শুস্ক মৌসুমে কোন দিনই তাদেরকে অলস সময় কাটাতে হয়না। প্রায়দিনই নানাজনের নানা কাজে তাদের ঘোড়ার গাড়ী ভাড়া নিয়ে থকেন। ঘোড়ার গাড়ি চালকগণ আরো জানান, প্রতিদিন ঘোড়ার খাবার খরচ বাদে প্রায় ৭/৮শত টাকা আয় হয়ে থাকে। ফলে বছরের প্রায় ৯ মাসই পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের সংসার বেশ ভালোই চলছে।