আপেল মাহমুদ, রুহিয়া (ঠাকুরগাঁও) থেকে :
বিকেল থেকে কুয়াশায় মুখ ঢাকছে মাঠঘাট। রাতভর টুপটাপ শীত ঝরছে। সকালের পরে কুয়াশা কেটে উঁকি দিচ্ছে সূর্য। শীতের আগমণ শুরু হয়েছে হিমালয়ের কন্যা খ্যাত ঠাকুরগাঁও, রুহিয়া ও পঞ্চগড়ে।
আশ্বিনের টানা বৃষ্টি শেষে গত দুদিন ধরে সন্ধ্যার পর শীত পড়তে শুরু হয়েছে। সকালে কুয়াশার দেখা মিলছে চারদিকে। হিমালয়ের পাদদেশে হওয়ায় শীতের আগমনী বার্তায় ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে গেছে ঠাকুরগাঁও সদরের রুহিয়া এবং রুহিয়া সংলগ্ন পঞ্চগড় জেলাধীন আটোয়ারী উপজেলায়।
এবছর শীতের আগমন আশ্বিনের শুরুতেই প্রতিদিন রাত ও ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় চাদর পড়েছে, সড়কে যানবাহন গুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। সকালে পথঘাট হালকা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। আমন ধানের পাতা আর ঘাসের ওপর ঝরছে শিশির কণা। শিশির ভেঙে চাষি ছুটে যান সবুজ ধানের ক্ষেতে। রোদের আলোয় ঘাসের ওপর ঝরে পড়া শিশির বিন্দু চকচক করে ওঠে।
শীতের আগমনী বার্তায় প্রস্তুতিও শুরু করেছে এসব এলাকার মানুষজন। বস্তাবন্দি রাখা গরম কাপড় বের করতে শুরু করেছে অনেকেই। সন্ধ্যায় ও ভোরে হাঁটা-হাঁটি শেষে জমছে চায়ের আড্ডা। শীতের এই সময়টি উপভোগের দারুণ সময় বলে মনে করেন অনেকে।
তবে দিনের বেলায় ঘটছে শীতের ঠিক বিপরীত। আবহাওয়াবিদদের মতে, আশ্বিন মাসের শেষ সময়ে মৌসুমি বায়ু কম সক্রিয় থাকায় এবং উত্তরীয় বায়ুর কিছুটা প্রভাব থাকায় শেষ রাতে শীত নেমে আসলে ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। বিশেষ করে মৌসুমি বায়ু যখন বাংলাদেশের উপর আর সক্রিয় থাকবে না তখন হালকা ধরনের শীত পড়বে। আর উত্তরের শেষ প্রান্তে শীতের আমেজ তো দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে প্রকট। এর মাত্রা আর অনুভূতি থাকে ভিন্নতর, এটা মোটামুটি সকলের জানা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সর্বনিম্ন ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। তিনি আরো জানিয়েছেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির শেষে রাতে ও সকালে কুয়াশা পড়ছে আর সবে মাত্র শীত শুরু, দিন বাড়ার সাথে সাথে বাড়বে শীত। শীতের সাথে তাপমাত্রা কমে আসতে শুরু করবে।