শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কালশিমাটি থেকে ঝাঁজর ঘাট পর্যন্ত রাস্তা পাকা করনে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল করার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী নিম্নমানের খোয়া সরিয়ে ফেলে পিকেটের খোয়া ব্যবহার করতে বললেও তা এখনো বাস্তবায়ন করেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারে এলাকার জনগনের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। একারনে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী গত ৫ অক্টোবর রাস্তা নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
জানাগেছে, শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের গাড়িদহ বেইলী ব্রিজ থেকে খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঁজর ঘাট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করনের কাজের টেন্ডার পান মেসার্স আতাউর রহমান খানের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে গাড়িদহ ইউনিয়নের কালশিমাটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা নির্মানের জন্য ৩ নাম্বার ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এলাকাবসীর অভিযোগ এই খোয়া দিয়ে রাস্তা নির্মান করলে এক মাসও টিকবেনা। এমন অবস্থা দেখে অস্বস্থিতে রয়েছেন তারা। তারা বলছেন এই খোয়া কম দামে কিনে তারা রাস্তায় ব্যবহার করছেন। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসি।
এ বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নিম্ন মানের খোয়া ব্যবহার করার কথা শুনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে তা অপসারণ করতে বলেছি এবং ভাল পিকেট নিয়ে এসে খোয়া তৈরী করে রাস্তায় ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। রাস্তার বন্ধের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কালশিমাটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রাস্তা নির্মানের মালামাল রাখায় এলাকাবাসির সাথে একটু ঝামেলা হয়েছিল। কিন্তু তাদের সাথে কথা বলে তার সমাধান করেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা প্রকৌশলী নুর মোহাম্মাদ জানান, নিম্নমানের খোয়া অপসারণ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। তবে কাজ বন্ধের বিষয়টি জানা নেই।