ফরিদুল ইসলাম নয়ন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
‘আমি গলিতে খেলতে ছিলাম। নাছির, এনায়েত জোর করে হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়। এনায়েত আমার হাত-পা ধরে রাখে। ওড়না নিয়ে নাছির আমার মুখ চেঁপে ধরে রাখে আমাকে ধর্ষণ করে। সে সময় উজ্জল, আরিফুল বাসার সামনের দরজায় দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিলো। তারপর আমি অজ্ঞান হয়ে গেলে ওরা আমাকে খাটের নিচে ফেলে রাখে। জ্ঞান ফিরলে আমি বাসায় চলে আসি।’
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ধর্ষণের শিকার ১৪ বছরের কিশোরী এমনই ভয়ানক বিকালের বিবরণ দিলো আদালতে। সে সময় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিন এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে, ২১ অক্টোবর দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী উত্তরপাড়া গ্যাসলাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২৮ (১০) ২০।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্রীর গ্রামের বাড়ি থেকে পড়াশোনা করে। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় গত ৫ মাস যাবৎ সে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জে বসবাস করছিল। বুধবার (২১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার সময় প্রতিবেশী অভিযুক্ত মোঃ নাছিরের বাড়ির সামনে খেলাধুলা করার সময় শিশুটিকে জোর করে তার ঘরে নিয়ে যায়।
পরে এনায়েত হোসেনের সহযোগিতায় শিশুটিকে ধর্ষণ করে নাছির। ধর্ষণের সময় ঘরের দরজার সামনে পাহারারত অবস্থায় ছিল অভিযুক্ত উজ্জ্বল ও আরিফুল ইসলাম। চারজনকেই আসামি করে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর শিশুর মা।
জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের এএসআই আজমল হোসেন বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ১৪ বছরের ভিকটিম আদালতে ২২ ধারা জবানবন্দি প্রদান করেছে।