বগুড়া প্রতিনিধি :
বগুড়া বিয়াম স্কুল এন্ড কলেজের দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা প্রমান পেয়েছেন তদন্ত কমিটি । অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলো বাংলা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক আব্দুল মোত্তালিব।
লম্পট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ওই দুই ছাত্রী বিচার চেয়ে ফেসবুকে পোষ্ট দিলে হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করতে জেলা প্রশাসক তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মাসুম আলী বেগ। অন্য দুজন হলো, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান ও বগুড়া সদরের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুর রহমান।
এবিষয়ে শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান রক্তিম জানান, গত ২০ জানুয়ারী বাংলা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে এক ছাত্রী অভিযোগ দিলেও অধ্যক্ষ তা ধামা চাপা দেয়। ওই ঘটনার পরে আরেক ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক আরেক ছাত্রীকে ফোনে, ম্যাসেঞ্জারে যৌন হয়রানী করে। ছাত্রীটি যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অডিও প্রকাশ করে তখন আগের জনও আবার প্রতিবাদ করে। একারনে আমরা প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও এক হয়ে আন্দোলনে নেমে পড়ি। শুনেছি ওই দুই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে। এটা হলে আর কেউ এ ধরনের ন্যাক্কার জনক কাজ করবে না। রাকিবুল হাসান আরও বলেন, আগের অভিযোগের বিচার হলে দ্বিতীয়টা হয়তো আর হতো না।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদ আলী বেগ ’অনুসন্ধান বার্তাকে’ জানান, এঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির তদন্ত রিপোর্ট বিয়াম স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির কাছে গত ১৫ তারিখে জমা দেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে বিয়াম স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি ও বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক ’অনুসন্ধান বার্তাকে’ জানান, তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর কমিটির সভা করেছি। বিয়াম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের কাছে এ রিপোর্টের ভিত্তিতে শাস্তির জন্য সুপারিশ পাঠানো হবে।