ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধান বার্তা :
শীতের শুরুতেই বগুড়ার ধুনট উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারের ফুটপাতগুলোতে জমে উঠেছে শীতের গরম কাপড়ের কেনাকাটা। আর কম মূল্যে কাপড় কেনার জন্য নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ভিড় বাড়ছে এসব ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলো।
ধুনটের বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখাযায় শিশু, নারী, পুরুষসহ সব বয়সের মানুষের শীতবস্ত্র রয়েছে এই দোকান গুলোতে। উলের কম্বল, কাপড়ের কম্বল, চাদর, কোর্ট, জ্যাকেট, শর্ট জ্যাকেট, লংকোর্ট, উলের কোর্ট, শর্টকোর্ট সহ সব ধরনের পোশাকই পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
শনিবার ধুনট সরকারি এনইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে দেখা যায়, দোকানগুলো পসরা সাজিয়ে বসেছে বিভিন্ন রকমের শীতবস্ত্র নিয়ে। সেখানে ক্রেতারা তাদের সাধ্যমতো কম মূল্যের শীতবস্ত্র কিনছে। বেশিরভাগ দিনমজুর ও নিম্নমধ্য আয়ের মানুষের ভিড় বাড়ছে ফুটপাতের এসব দোকান গুলোতে।
ধুনটের হাটে শীতের পোষাক ক্রেতা বুলবুলি আকতার বলেন, শীত সবে শুরু হয়েছে। আস্তে আস্তে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। একারনে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও শীতের কাপড়ের দাম বেড়েছে। তবে শীত আরো বাড়লে এসব ফুটপাতের গরম কাপড়গুলো নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে।
ফুটপাতের আরেক ক্রেতা বেলকুচি গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। তাই মার্কেটের দোকানে কাপড় কেনার সামর্থ নাই। তাই পরিবারের সবার জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। কিন্তু বেশি দাম হওয়ায় শুধু ছেলে-মেয়ের জন্য কাপড় কিনলাম।
ধুনটের হাটে ফুটপাতের দোকানদার আব্দুল হামিদ ও মোত্তালিব বলেন, গত শীতে যে মূল্যে মানুষ গরম কাপড় কিনেছে তা এবার পাবে না। গতবারের চেয়ে এবার গরম কাপড়ের গাট্টি ১৬ হাজার টাকা থেকে দাম বেড়ে ২৬ হাজার টাকা হয়েছে।
তারা আরো বলেন, এখনো তেমন একটা শীত পড়েনি। তারপরও বিক্রি ভালোই হচ্ছে। তবে মোকামে দাম বেশির কারণে আমরাও ক্রেতাদের নিকট দাম একটু বেশি ধরছি। তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে গরম কাপড়ের মূল্য আরো বাড়তে পারে। তারপরও দোকানের চেয়ে ফুটপাতে অনেক কমমূল্যে গরম কাপড় পাওয়া যায়। আর শীতর তীব্রতা বেড়ে গেলে আরো ভিড় হবে বলে আশা করেন ফুটপাতের বিক্রেতারা।