Read Time:3 Minute, 10 Second
ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধান বার্তা :
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পাটের বীজ উৎপাদন করে সাফল্য পেয়েছে চাষিরা। কম খরচ ও অল্প শ্রমে এই বীজ উৎপাদন করতে পারায় লাভবানও হচ্ছে তারা। চলতি বছর পাট বীজ উৎপাদন করে সাড়া ফেলেছে এ অঞ্চলের চাষিরা।
তেমনি একজন সফল চাষি ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের নসরতপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম। তিনি এক বিঘা জমিতে পাটের বীজ উৎপাদন করেছেন। তার এই এক বিঘা জমিতে পাটের বীজ উৎপাদন করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। সরেজমিন ওই গ্রামের ফসলী মাঠে গিয়ে দেখা যায়, তিনি পাট গাছ থেকে বীজ ছাড়াতে ব্যস্ত রয়েছে।
পাট চাষি আমিনুল ইসলাম জানান, পাটের বীজ উৎপাদন করতে তেমন কোন শ্রম ও খরচ করতে হয় না। প্রতিবিঘা জমি থেকে প্রায় আড়াই মণের মতো পাটের বীজ যাওয়া যায়। তিনি গত বছর ২২ হাজার টাকা দরে প্রতি মণ পাটের বীজ বিক্রি করেছেন। এছাড়াও পাট গাছের আঁশ ছাড়িয়ে এবং পাট কাঠি বিক্রি করেও তিনি ১০ থেকে ১২ হাজার হাজার অতিরিক্ত লাভ করেছেন।
তিনি জানান, গত বোরো ধান রোপন সময় তিনি পাট লাগিয়েছিলেন আর চলতি বোরো ধান লাগানোর সময় তিনি পাটের বীজ ঘরে তুলছেন। এই বীজ চৈত্র-বৈশাখ মাসে পাটের আঁশ উৎপাদের জন্য কৃষকেরা জমিতে বপন করবেন।
তিনি আরো জানান, পাটের বীজ বিক্রী করতে কোন হাটে বাজারে যেতে হয় না। বাড়ীর উপর থেকেই অন্য কৃষকেরা পাটের বীজ ক্রয় তাদের জমিতে বোপন করেন।
আরেক পাট চাষি হাফিজুর রহমান বলেন, উন্নত জাতের পাটের বীজ অন্যদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যদি এই অঞ্চলের কৃষকের উৎসাহ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে পাটের বীজ উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করা যায় তাহলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাহিরের দেশেও বিক্রি করা সম্ভব হবে।
ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মশিদুল হক বলেন, পাটের বীজ উৎপাদনের জন্য কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তবে পাটের বীজ উৎপাদনে সময়সীমা বেশি হওয়ায় কৃষকের বীজ উৎপাদন করতে চান না। তারপরও অনেক কৃষক নিজে থেকেই বীজ উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন।


