স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধান বার্তা :
বগুড়া জেলার হাট-বাজারে নতুন ধান উঠলেও চালের দাম বাড়ছে হু-হু করে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কয়েক দফায় প্রকার ভেদে চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৮ থেকে ১২ টাকা।
বগুড়ার খোলা বাজারে সর্বনিম্ন মোটা চালের দাম এখন ৪৭ টাকা এবং চিকন চালের দাম সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজারে ধান ও চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় সরকারের চলমান অভ্যন্তরীণ আমন ধান এবং চাল ক্রয় ব্যাহত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বগুড়ার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রনজিৎ ও বিআর-২৯ চাল ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, স্বর্না চাল ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, বিআর -২৮ চাল ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, মিনিকেট চাল ৬০ টাকা, নাজির শাইল চাল ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা, পাইজাম চাল ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা, কাটারী চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দুই সপ্তাহ আগেও কেজি প্রতি চালের দাম ৮ থেকে ১২ টাকা কম ছিল।
এবিষয়ে চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণে চালের দাম বাড়ছে। এছাড়াও গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার কারনে চাতালে ধান শুকাতে দেরি হওয়ায় বাজারে চাল সরবরাহ কমে যাওয়ায় চালের বাজার দর বেড়ে গেছে।
এদিকে বিভিন্ন হাট-বাজারের খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বিআর-৪৯ ও বিআর-২৮ ধান ১২০০ টাকা এবং কাটারী ধান ১৩০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারের অভ্যন্তরীন আমন ধান সংগ্রহ অভিযানও ব্যাহত হচ্ছে। সরকারি খাদ্য গুদামে ধানের দাম ২৬ টাকা কেজি হিসেবে ১০৪০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে ধানের দাম ১২০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে সরকারি খাদ্য গুদামে ৩৭ টাকা কেজি দরে যে চাল কেনা হচ্ছে সেই চাল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকা কেজি। একারনে খাদ্য গুদামের সাথে চুক্তিবদ্ধ মিলারগণ ধান-চাল সরবরাহে আগ্রহী হচ্ছেন না।
বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সরকারি খাদ্য গুদামে ৪৮ হাজার ২৪১ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ১ হাজার ৯৯১ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ১১ হাজার ৭৯২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছ।
এদিকে গত ৭ ডিসেম্বর বগুড়ায় অভ্যন্তরীন খাদ্য সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হলেও বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় মিলারগণ খাদ্য গুদামে ধান চাল দিচ্ছেন না।
বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল মজিদ বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজারে ধান চালের মুল্য অনেক বেশি। একারণে মিলারদের মধ্যে আগ্রহ কম।
তবে এ পর্যন্ত বগুড়ায় চাহিদার থেকে মাত্র ১৫ মেট্রিক টন ধান ও ১২৬৩ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।