স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধান বার্তা :
বগুড়ার ধুনট উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধায়নে ১০টি ইউনিয়নের গ্রামীণ রাস্তা রক্ষনা-বেক্ষনের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে মাটি কাটার শ্রমিক নিয়োগ দিতে অর্থ আদায় করা হয়েছে। ভুয়া শ্রমিক নিয়োগ দিতে নেয়া হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) ধুনট মডেল প্রেসক্লাবে এসব বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বানিয়াজান গ্রামের কিছু নারী শ্রমিক।
তবে এরআগে তারা গত সোমবার (১১ জানুয়ারী) এসব বিষয়ে ধুনট উপজেলা র্নিবহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।
ধুনট মডেল প্রেসক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বানিয়াজান গ্রামের সুরুজ্জামানের স্ত্রী ইয়াসমিন, মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী শিরিনা আক্তার ও একই গ্রামের গৌরি আক্তার বলেন, উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ‘আরএমপি’ প্রকল্পে শ্রমিক নিয়োগে আমরা আবেদন করি। কিন্তু আমরা টাকা দিতে না পারায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইঞ্জিনিয়র অফিসের লোকজন আমাদেরকে বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো জানান, বানিয়াজান গ্রামের শুকচান মন্ডলের স্ত্রী প্রভাতি রানীর আসল ভোটার আইডি কার্ডে বয়স ৫৩ বছর থাকলেও সে নিয়োগ পেয়েছে। তার নকল ভোটার আইডি কার্ডে তার বয়স ৪২ বছর। এছাড়াও একই গ্রামের মৃত বাবলুর স্ত্রী আলেয়া বেওয়া বিধবা ভাতার সুবিধা নিচ্ছে। এরপরও সে সরকারি আরএমপি প্রকল্পে নিয়োগ পেয়েছে।
তবে এসব চিত্র শুধু ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের নয় ? এভাবেই টাকার বিনিময়ে মাটি কাটার শ্রমিকও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, আমার ইউয়িননে ১০০ জন আবেদন করলেও ১০জন শ্রমিক নিয়োগ হয়েছে। তবে নিয়োগ তালিকায় ধুনট উপজেলা চেয়ারম্যানের সুপারিশে এক জনকে নিয়োগ দিয়েছি এবং মেম্বাররা নিয়োগ দিয়েছেন।
এবিষয়ে ধুনট উপজেলা প্রকৌশল কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক নিয়োগ বিষয়ে ইউএনও, চেয়ারম্যান সহ কমিটি দেখেন। তবে শ্রমিক নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, কিভাবে শ্রমিক নিয়োগ হয়েছে তা জানা নেই। তারপরও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।