ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধান বার্তা :
বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর (১৩) এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক মাস আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃত ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবুকে (৪৫) দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে গ্রেফতারকৃত ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবুকে বগুড়ার আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এরআগে শনিবার দুপুরে ধুনট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বগুড়া জেলা সদর এলাকা থেকে আলোচিত এই ধর্ষণ মামলার ২নং পলাতক আসামী ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবুকে গ্রেফতার করে।
ফজলুল হক বাবু ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য এবং একই ইউনিয়নের দেউরিয়া গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে।
জানা গেছে, ধুনট উপজেলার দেউড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা (৩৬) ও ইউপি সদস্য ফললুল হক বাবু (৪৫) সহ তার কয়েক সহযোগি একই গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গত ১৬ জুলাই রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সিএনজিযোগে অপহরন করে নিয়ে যায়।
এরপর ওই মেয়েটিকে এক মাসেরও বেশি সময় একটা ঘরে আটকে রেখে ঘুমের ঔষধ খাওয়াইয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়।
এঘটনায় গত ১২ আগষ্ট ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক মাসুদ রানা ও গোপালনগর ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবু সহ ৭ জনকে আসামী করে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলা দায়েরের পর গত ২৪ আগষ্ট ওই স্কুল ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় ধর্ষক মাসুদ রানা ও তার সহযোগিরা। পরে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের পর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে।
এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় এপর্যন্ত তিনজন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তন্মধ্যে ২নং আসামী ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবুকে আদালতে হাজির করে ১০দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এছাড়া মামলার প্রধান আসামী সহ অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।