অনুসন্ধান বার্তা ডেস্ক নিউজ :
কুষ্টিয়া শহরে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে গ্রেফতারকৃত হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা ভাস্কর্য ভাঙচুর করেন।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলো- কুষ্টিয়া শহরের জগতি পশ্চিমপাড়া এলাকার ইবনি মাসউদ (রা.) মাদ্রাসার শিক্ষক ও জেলার মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে মো. আল আমিন (২৭), শিক্ষক ও পাবনার আমিনপুর থানার দিয়াড় বামুন্দি এলাকার আজিজুল মণ্ডলের ছেলে মো. ইফসুফ আলী (২৬) এবং একই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে অধ্যয়নরত ছাত্র ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমসের মৃধার ছেলে মো. আবু বক্কর ওরফে মিঠন (১৯), জেলার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর (গোলাবাড়িয়া) এলাকার মো. সামছুল আলমের ছেলে মো. সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০)।
রবিবার (৬ ডিসম্বের) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে কুষ্টিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার মুহিদ উদ্দীন।
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতের কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় শনিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দীন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, মাওলানা মামুনুল হক ও সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আবু বক্কর ও সবুজ ইসলাম গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছেন। ঘটনার রাতে তারা দুজন একসঙ্গে মাদ্রাসা থেকে হেঁটে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পাঁচ রাস্তার মোড়ে যান। ভাস্কর্য নির্মাণে ব্যবহৃত বাঁশের মই বেয়ে দুজন ওপরে ওঠেন। এরপর পিঠে থাকা সবুজ ব্যাগ থেকে হাতুড়ি বের করেন। দুজন মিলে ভাস্কর্য ভাঙচুর করেন।
৮ মিনিট ধরে ভাঙচুরের পর তারা আবার হেঁটে মাদ্রাসায় ফিরে যান। শনিবার সকালে তারা বিষয়টি মাদ্রাসার শিক্ষক আল আমিন ও ইফসুফকে জানান। দুই শিক্ষক তাদের পালিয়ে যেতে বলেন। তখন ছাত্ররা তাদের নিজ নিজ বাড়িতে চলে যান। পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত করে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।