অনুসন্ধান বার্তা ডেস্ক নিউজ :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করতে চায় বাংলাদেশ। তিনি বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার কারণেই করোনায় দেশে খাদ্য সংকট হয়নি। করোনার কারণে শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে একটা স্থবিরতা এসে গেছে। কিন্তু আমাদের অর্থনীতি যেন স্থবির না হয়ে পড়ে সে জন্য শুরু থেকেই নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি।
রবিবার (১১ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সেনাবহিনীর ১০টি ইউনিটকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমাদের চাল, গম, মাছ, ফল, তরকারি সব কিছুর উৎপাদন বাড়াতে হবে। যাতে দেশে কোনো খাদ্য সংকট দেখা না যায়। করোনায় বিশ্বব্যাপী খাদ্য মন্দা দেখা দিচ্ছে। অনেক উন্নত দেশও হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু আমরা সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনো করোনাভাইরাস আছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আবার করোনার প্রভাব দেখা দিতে পারে। ইউরোপসহ নানা দেশে নতুন করে করোনার প্রভাব দেখা দিচ্ছে। তাই এখন থেকে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে এবং সুরক্ষিত থাকতে হবে।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। ভূমিহীন থাকবে না। ভূমিহীন মানুষকে আমরা ঘরবাড়ি করে দেব, সেই পদক্ষেপও নিয়েছি।
বাজেটের অর্থ খরচে সংশ্লিষ্টদের মিতব্যয়ী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর এই সংকটময় সময়েও মানুষের কল্যাণে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এবার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি। যেটা দেওয়া খুব কঠিন ছিল। তবু আমরা দিয়েছি, তারপরও বলেছি যে অর্থ খরচের ব্যাপারে সবাইকে একটু সচেতন থাকতে হবে। কারণ করোনা ভাইরাস যদি আবার ব্যাপক হারে দেখা দেয় তাহলে আমাদের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে।
তিনি আরো বলেন, করোনার প্রভাব বেশি আকারে দেখা দিলে মানুষকে আবার আমাদের সহযোগিতা করতে হবে, চিকিৎসা করতে হবে, ওষুধ কিনতে হবে, হয়তো আরও ডাক্তার নার্স আমাদের লাগবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। ঠিক যেটুকু আমাদের প্রয়োজন তার বেশি এখন কোনো টাকা-পয়সা খরচ করা চলবে না। ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ রেখেই সে ব্যবস্থা নিতে হবে।